"শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে শিক্ষাব্যবস্হা জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করুন " এ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক প্রথম জাতীয় সম্মেলন ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পুরানা পল্টনস্হ মুক্তিভবনের সামনে জাতীয়পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ। উদ্বোবধী অনুষ্ঠানের পর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টায় আলোচনা সভা মুক্তিভনের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আহবায়ক মো. মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান, শিক্ষাবার্তার সম্পাদক এ. এন রাশেদা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি সরদার আবুল বাশার, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহিনুর আলম খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মো. বিলাল হোসেন, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক ও ঢাকা মহানগরের আহবায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম- আহবায়ক ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অমৃত কারণ।
উদ্বোধক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষকরা হলো বাল্যকালের ছাত্রদের শিক্ষক। মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষকদের যথেষ্ট খাবার নেই,যথেষ্ট পুষ্টি নেই, তাই পাঠদান করবে কিভাবে? শিক্ষকরা ভালো না থাকলে পাঠদান ভালো হয় না।
তিনি আরও বলেন, তাই বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি শিক্ষাব্যবস্হা জাতীয়করণ। এ দাবী সরকারের মেনে নেয়া উচিৎ।
এরপর আলোচনা সভায় সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, যে জাতি শিক্ষকের মর্যাদা দিতে জানে না সে জাতি বড় হতে পারে না। আপনাদের এ চাহিদা ন্যুনতম। সে দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। সরকারি- বেসরকারি নির্বিশেষে শিক্ষকদের পাওনা দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন তাহলে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা কেন বেশি বেতন পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, কুদরাৎ ই খুদা কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি।২০১০ সালের শিক্ষা কমিশনও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিক্ষকরাই অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষা উন্নয়নের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পারে।
দুপুর ২ টায় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি ও নূরে আলম বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি
সভাপতি- জাহাঙ্গীর হোসেন
সহ-সভাপতি -বিলাল হোসেন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, আব্দুস সোবহান, অমরেন্দ্র চাকমা, অমৃত কারণ, মো.কামরুজ্জামান, সুশান্ত ভাওয়াল ও আমির হোসেন ভূঁইয়া।
সাধারণ সম্পাদক: নূরে আলম বিপ্লব
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক -- তমাল তরুন দাশ, বিপ্লব দত্ত ও আসমান আলী।
সাংগঠনিক সম্পাদক- সানাউল্লাহ ভূঁইয়া, শান্তি ভূষণ দেবনাথ ও মো. আলী আক্কাছ।
অর্থ সম্পাদক - নিরঞ্জন সরকার
দপ্তর সম্পাদক- রাজিয়া সুলতানা
আন্তর্জাতিক সম্পাদক- প্রকাশ বৈদ্য
প্রচার ও যোগাযোগ : মো. সালাউদ্দিন
সেমিনার সম্পাদক: জাহেদুল ইসলাম
সমাজকল্যাণ সম্পাদক: পবন কান্তি নাথ
ক্রীড়া সম্পাদক: শামছুল আলম
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: অজয় কুমার আচার্য
পরিবেশ সম্পাদক: ফয়েজ আহমেদ
সদস্য-
এনায়েত হোসেন,নেছার উদ্দিন, এরশাদ মাস্টার,জবাইদুর রহমান, পরিমল চন্দ্র ঢালী, সনৎ রুদ্র, আনোয়ার হোসেন।
আপাতত ৬১ জনের মধ্যে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলো। পরবর্তীতে অন্তর্ভূক্তি করা হবে।
জাতীয় পরিষদের নামের তালিকা অচিরেই ঘোষণা করা হবে।