চাঁদপুরের বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে শেখ মহসীন এর খোলা চিঠি

admin
0



 চাঁদপুরে প্রিপেইড মিটারের ম্যাজিক কারচুপিতে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ। 
শহরের ৯০ ভাগ লোক যারা প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছেন তাদের পকেট কাটছে বিদ্যুৎ বিভাগ অভিযোগ সাধারণ নাগরিকদের ।  বিশ্বময় অর্থনৈতিক করালগ্রাসের মধ্যে নাগরিকদের কষ্টার্জিত অর্থ বিভিন্ন অজুহাতে অটোমেটিক কর্তন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। 
প্রতিমাসেই দুই তিন বার করে মেইন লাইনের সংযোগে ডিস্টার্ব দেখা দিলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে ঘষামাজা করে ঠিক করে দিয়ে যান এতে গ্রাহক সামান্য সম্মানী দিলেও মাসে হাজার বারোশো টাকা এখাতেও ব্যয় হয়। 
এতে অনেক ক্ষেত্রেই  কাজের কাজ কিছুই হয় না। 
 কাজের কাজ তো কিছুই হয়নি তারপর দেখা যায় অন্য সমস্যা।  তখন আবার দেখা দেয় মিটারের ডিস্টার্ব। ১০০ টাকা বিলের জায়গায় ১০০০ টাকা খেয়ে ফেলে এই বোবা মিটার । 
বোবা মিটারের সাথে গ্রাহক কিছু বলতে না পেরে নাগরিকগণ অভিশাপ দেয় সরকার সহ বিদ্যুৎ বিভাগ কে। 
বিদ্যুৎ ওয়ারিং এর ঝামেলার ফলে গ্রাহকের পকেট কাটে বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগ। ওয়্যারিং ও করেন তারাই।তাদের ছাড়া অন্যদের দ্বারা ওয়ারিং করাইলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 
এক্ষেত্রে রয়েছে নানা গুঞ্জন। যারা প্রিপেইড মিটারের বিরোধিতা করেছিলেন তারা বিভিন্ন আত্মীয় করনের ফলে রয়ে গেছেন এ বিভাগেই। বিদ্যুৎ বিভাগে বা বিদ্যুতের কাজ করে এ লোকগুলো দু'ভাগে বিভক্ত কেউ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছে কেউ আবার ভিতরে বাহিরে থাকা বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়্যারিং মিস্ত্রি কে দোষারোপ করছে। 
তারা ডিপার্টমেন্টে থেকেই প্রিপেইড মিটারের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নিচ্ছে গ্রাহকদের উপর দিয়েই। এর ফলে দুই চার জন ছাড়া সকলেই প্রিপেইড মিটারের সু ফলের পরিবর্তে কুফল বয়ে চলেছেন। 
বিদ্যুৎ বিভাগ মিটারের টাকা কেটে নিচ্ছেন সার্ভিস চার্জ নিচ্ছেন এবং কিলো চার্জ ও নিচ্ছেন কিন্তু সেবা দিচ্ছেন না। সেবা দিলে এ সকল অভিযোগ অবান্তর বলেই মনে হতো।
সচেতন নাগরিকদের দাবি বিদ্যুৎ বিভাগ যেনো প্রতিটি প্রিপেইড মিটার ব্যবহার কারিগণের মেইন লাইন থেকে মিটারের সংযোগ এবং ওয়্যারিং চেকআপ করে বিদ্যুৎ বিতরণের এই সামান্য সুবিধাটুকু নিশ্চিত করেন। তাহলে অযথা প্রিপেইড মিটারের টাকা খোয়া যাওয়া বা শেষ হওয়া থেকে নাগরিকগণ রক্ষা পাবে বলে এই সিস্টেমের উপর ন্যূনতম আস্থা রাখবে বলে প্রত্যাশারাখি
  সাংবাদিক শেখ মহসীন 
  প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী 
  জি টি রোড দক্ষিণ
  চেয়ারম্যান ঘাট চাঁদপুর 
  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top
;e.readyQueue=[];e.ready=function(