উপড়ের দুটি ছবিতে প্রথম জন শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্র এবং দ্বিতীয় জন প্রধানশিক্ষক মো. সেলিম উদ্দিন।
সংবাদ প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কেশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্রকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক কর্তৃক হেনস্হার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বোর্ড চেয়ারম্যানকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা কমিটি।
গত ৩০ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম বোর্ড চেয়ারম্যান এর নিকট সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অমৃত কারণ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার দত্তের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগপত্র জমা দেন।
এদিকে কেশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন তাতে উল্লেখ আছে শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্র ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী প্রধান শিক্ষক একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচীর দিন একটি দায়িত্ব পালনের কথা বললে উজ্জ্বল রুদ্র তা অমান্য করেন।
উজ্জ্বল রুদ্রের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন কোন ঘটনা আমি করি নি। আমাকে যখন যেই দায়িত্ব দিয়েছে আমি তা পালন করে আসছি। শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্র নোটিশের জবাবে এমনটিই উল্লেখ করেছেন।
প্রধানশিক্ষক প্রায়শঃই উজ্জ্বল রুদ্রের সাথে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা, সাম্প্রদায়িক আচরণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
যে ঘটনাকে প্রধান করে অভিযোগ আনেন তা হলো,৮ম শ্রেণির অকৃতকার্য একজন শিক্ষার্থীকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি করানোর অজুহাতে শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্রকে বহিষ্কার সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। যদিও ওই শিক্ষার্থীর নাম হাজিরা খাতা কিংবা বালাম খাতায় নাম উঠানো হয় নি। কেবলমাত্র কাগজে টুকে রাখা হয়েছিলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রধানশিক্ষক সেলিম উদ্দিনের মনঃপুত না হওয়ায় তিনি শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্রের ওপর ক্ষেপে যান এবং জামার কলার চেপে ধরে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণও করেন - এ মর্মে অভিযোগপত্রের একাংশে তুলে ধরা হয়।
শিক্ষক উজ্জ্বল রুদ্র স্বাভাবিক জীবন ও বিদ্যালয়ে পাঠদানের পরিবেশ ফিরে পেতে এবং প্রধানশিক্ষকের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্হা করতে এ অভিযোগপত্রটি। এ অভিযোগপত্রের মতোই আরও একাধিক অভিযোগপত্র চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং কেশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতিকেও ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র জমা দেন।
উল্লেখিত ডিপার্টমেন্টগুলোতে ভিকটিম উজ্জ্বল রুদ্র অভিযোগ পত্র দেন। কিন্তু কোন ব্যবস্হা না নেয়ায় চট্টগ্রাম বোর্ডে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অনুরুপ অভিযোগ দেন।