বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়েছে চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবদুল্লাহ কাফি রতন, সমন্বয়ক এস এম শুভ এবং আহবায়ক সবুজ তাঁতি এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, মজুরি বৃদ্ধি সহ অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা আদায়ে আন্দোলনরত বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করুন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৭ দিন বাগান বন্ধ রেখে বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাগান ম্যানেজমেন্ট এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। বরং বাগানের ম্যানেজার নানাভাবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ভয়ভীতি এবং হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ইতিপূর্বে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সহ অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে কুলাউড়া উপজেলা চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কুলাউড়া উপজেলার বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি এখনো মাত্র ৮২ টাকা। নেই অন্যান্য কোন মৌলিক সুযোগ-সুবিধা। ৭ দিনের পরিবর্তে ৬ দিনের মজুরি দেয়া হয়। অন্যান্য বাগানে ২ টাকা হারে রেশন দেয়া হলেও বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের দিতে হয় ৬ টাকা। ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না বছরের পর বছর। চাষের জন্য শ্রমিকদের জমি বরাদ্দ দেয়া হয় না। বাগান ম্যানেজার নিজের ইচ্ছেমতো শ্রমিকদের কাজ দেন। কেউ প্রতিবাদ করলে বাগান থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন প্রতিনিয়ত। এরকম দুর্বিষহ পরিস্থিতেতে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বাগান বন্ধ রেখে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া না হলে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।