শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুর লেখক পরিষদের আলোচনা সভা ও সাহিত্যপাঠ

admin
0


প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর লেখক পরিষদের আয়োজনে আলোচনাসভা ও সাহিত্যপাঠ ১৪ ডিসেম্বর,বুধবার বিকাল ৪ টায় জেলা সাহিত্য একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।


চাঁদপুর লেখক পরিষদের সভাপতি কবি ও প্রাবন্ধিক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফতেউল বারী রাজা, আলোচনা করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সদস্য ও বিশ্লেষক অ্যাড. শীতল ঘোষ, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা খান, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির চাঁদপুর সদরের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ঢালী, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, এন কে সুমন পাটওয়ারী, সদস্য বাহার হায়দার চৌধুরী, কবি ও প্রাবন্ধিক আজিজ লিপন, আব্দুর রহমান সোহেল পাটওয়ারী।


অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র মজুমদার।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্হিত ছিলেন, চাঁদপুর লেখক পরিষদের প্রকাশনা সম্পাদক পাপ্পু কুমার দত্ত,  সদস্য খন্দকার আবু মো. জালাল,  সাংবাদিক হাছানুর আকরাম, সাংবাদিক এইচ এম আজাদ ও কণ্ঠশিল্পী তানভির হোসেন।


অনুষ্ঠানে সাহিত্যকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কবিতা পাঠ করেন।


অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য করতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষকে বেছে বেছে পাকিস্তানী দোসররা হত্যা করেছে। পাকবাহিনীর পরাজয় নিশ্চিতভেবে তারা বিজয়ের দুই দিন আগে পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে।


এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দল জামাত-শিবির,মুসলিম লীগ এখনও নিষিদ্ধ হয় নি।


এখনও তারা স্বাধীন দেশে বহাল তবিয়তে আছেন এবং নির্বিঘ্নে সমাজবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন,গোটা সমাজকে পেছনে টেনে ধরছেন। এ সময় সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রকাশ্যে - অপ্রকাশ্যে প্রগতিবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। এরা দেশের বিভিন্ন ইউনিটে সেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনার সকল তথ্য উপস্হাপনের কাজ করছে। তারা থেমে নেই। প্রগতিবিরোধীরা অর্থায়ন করছে তাদের কর্মকাণ্ড টিকিয়ে রাখতে। এখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিভিন্ন কৌশলে অবস্হান নিচ্ছেনল এবং কাজ করছে। 


এ সব পরিস্হিতি অনুধাবন করতে পারেন যারা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ তারাই। তাই দুর্বৃত্তরা কখনই জ্ঞানগর্ভের মানুষ দেরকে ভয় পান এবং অসম্মান করতে চান। 


আলোচকগণ আরও বলেন, সমাজ সুন্দর করতে সম্পদের সুষম বণ্টনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে  এগিয়ে নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। যদিও সম্পদের সুষম বণ্টন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্হায় সুদূর পরাহত হয়ে রইলো।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য মানুষের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করাসহ মানুষের মুক্তবুদ্ধির চর্চার পথ প্রশস্ত করতে সরকারকে ব্যবস্হা নিতে হবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top
;e.readyQueue=[];e.ready=function(